বিশ্বকাপ মানে আনন্দ, বিশ্বকাপ মানেই উল্লাসের এক বাঁধ ভাঙ্গা স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন চূড়ায় পৌঁছাতে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা ও নৈপুন্য তুলে ধরছে আরও একবার কোটি মানুষের কাছে ২০১৫ তে। ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইতিহাসের ১১তম বিশ্বকাপ আসর। যার যৌথ আয়োজনে আছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যে মহাযজ্ঞের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে ১৪ ফেব্রম্নয়ারী ২০১৫। চলবে ২৯ মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত। আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের ১৪টি স্টেডিয়াম সাজিয়েছে ৪৯টি লড়াইয়ের জন্য। যার ২৬টি লড়াই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্টেডিয়ামে। উলেস্নখ করা যায় এডিল্যাড, ব্রিসবেন, কেনবেরা, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ এবং সিডনি স্টেডিয়ামগুলো প্রস্ত্তত এই মহাযোগ্যের জন্য। আয়োজনের অন্য ২৩টি লড়াইয়ের জন্য নিউজিল্যান্ড প্রস্ত্তত করেছে তাদের অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, জনডিন, হেমিলটন, নেপির, নেলসন এবং ওয়েলিংটন স্টেডিয়ামগুলো। আর সেই বিশ্বমুকুটের চূড়ামত্ম লড়াই বিশ্ববাসীকে উপহার দিবে ‘‘মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড’’। এই আসর রঙিন করতে ময়দানে আছে মোট ১৪টি দল ও তাদের ৪০০ খেলোয়ার, অধিকারীগণ।

আই সি সি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ এর গ্রুপ:

গ্রুপ – গ্রুপ – বি
১। অস্ট্রেলিয়া২। আফগানিস্থান

৩। বাংলাদেশ

৪। ইংল্যান্ড

৫। নিউজিল্যান্ড

৬। স্কটল্যান্ড

৭। শ্রীলংকা

১। ইন্ডিয়া২। আয়ারল্যান্ড

৩। পাকিস্থান

৪। সাউথ আফ্রিকা

৫। আরব আমিরাত

৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৭। জিম্বাবুয়ে

 

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রেখেছে ভাবতেই আনন্দে বুক ভরে যায়। মাহমুদুল্লাহর শতকের পর রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ রানে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেঁজে উঠেছে বিশ্বকাপের জয়ধ্বনি। পাড়ায়, মহল্লায় এই গৌরবময় মুহূর্তের জন্য আয়োজন করা হয়েছে মিনি বিশ্বকাপ, কনসার্ট ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান। আর এর আয়োজক হিসেবে কাজ করছে ছোট বড় সবাই। ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’ ও এর বাইরে নয়। এই আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে মনে হয় এক নতুন বাংলাদেশ ফিরে পেল বাঙালি। যেখানে নেই ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। যেখানে নেই কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা।সকলের প্রত্যাশা এবার বাঙালিই ছিনিয়ে আনবে সেই বিজয় মুকুট।

সত্যি বলতে, বাংলাদেশ যেন আজ বিশ্বকাপের-ই এক ‘প্রতিচ্ছবি’