শরীয়তপুরে অপহরণের শিকার এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ৭ মাস পর নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। একই সাথে মামলার প্রধান আসামীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পালং মডেল থানার এসআই আশরাফ এর নেতৃত্বে এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার দিবাগত রাতে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার সুজনদোয়াল গ্রামের নুর মোহাম্মদ মাদবরের মেয়ে আংগারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার ৭ মাস পূর্বে অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় বিগত ১১ আগষ্ট ২০১৪ ইং তারিখে মেয়ের বাবা নুর মোহাম্মদ মাদবর বাদী হয়ে পালং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের আলাউদ্দীন সিকদারের ছেলে মাহাবুল সিকদার (২০) সহ তার আরো ৩ ভাইকে আসামী করা হয়। গত জানুয়ারী মাসে চাঞ্চল্যকর এ অপহরণ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পালং মডেল থানার উপ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। দায়িত্ব পাওয়ার পর স্কুল ছাত্রী সাথীকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে সোর্স নিয়োগ করা হয়। সোর্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে একবার অভিযানও পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অপহরণকারীরা শেষ মুহুর্তে টের পেয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য সাথীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফ জানতে পারেন অপহরণকারীরা সাথীকে নিয়ে ফতুল্লা এলাকায় রয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার তিনি পালং মডেল থানা পুলিশের একটি দল নিয়ে ফতুল্লা যান। গভীর রাতে ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিনি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন এবং ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে অপহরণের শিকার স্কুল ছাত্রী সাথী আক্তারকে উদ্ধার করেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামী অপহরণকারী মাহাবুল সিকদারকেও আটক করা হয়।