রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর উদ্যোগে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামে গঠিত হয় আলাদা দুটি পরিদর্শন জোট। এই দুটি পরিদর্শন জোটের উদ্দেশ্য হল গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করা এবং সেগুলো সংস্কারে সহায়তা করা।

ইতিমধ্যে অ্যাকর্ড ১ হাজার ২শ’ কারখানা এবং অ্যালায়েন্স প্রায় ৬শ’ কারখানা পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনে যে কারখানাগুলোর বড় ধরনের ঝুঁকি চিত্র উঠে আসেছে সেগুলো (৩০টি কারখানা ) ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য কারখানার কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে যে ত্রুটি পাওয়া য়ায় তা সংস্কারের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ও বেঁধে দেয়।

এর পরও যদি কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্সের উন্নতি না করে তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ওই কারখানার সাথে ব্যবসা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে অ্যাকর্ড । এবং সেই সঙ্গে ওই সব কারখানাগুলোর তালিকাও অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও জানায়।

অন্যদিকে অ্যালায়েন্সের পরিচালনা পরিষদের প্রধান অ্যালেন টসারের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কারখানার ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তায় অগ্রগতি না হলে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দেবে ব্র্যান্ডগুলো। গত সপ্তাহে অ্যালায়েন্স এই বিবৃতি দেয়।