সহযোগীর ‘স্বীকৃতি’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোকো হারামের পক্ষ থেকে তাদের আনুগত্য চাওয়ার পেক্ষিতে এক অডিওবার্তায় আইএস তাদেরকে নিজেদের ‘অনুগত’ বলে মেনে নিয়েছে।
তবে ওই অডিওবার্তাটি সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
অডিওবার্তায় আইএসের একজন মুখপাত্র বলেন, ইসলামি রাষ্ট্র (খিলাফত) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য এখন পশ্চিম আফ্রিকাতেও ছড়িয়ে দেয়া হল।
অডিওবার্তায় নিজেকে আইএসের মুখপাত্র পরিচয় দানকারী ব্যক্তির নাম মোহাম্মাদ আল-আদনানি। তিনি বলেন, “আমরা আপনাদেরকে একটি সুসংবাদ জানাচ্ছি, আমরা পশ্চিম আফ্রিকাতেও ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তার ঘটাতে যাচ্ছি। কেননা খিলাফত (ইসলামিক স্টেট)সুন্নি ভাইদের সংগঠন যারা ইসলাম প্রচার করছে এবং জিহাদ করছে তাদের আনুগত্য গ্রহণ করেছে।”
ওই মুখপাত্র মুসলিমদের প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার বিদ্রোহী-জঙ্গি ওই গোষ্ঠীটিতে যোগ দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরাকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর ধারাবাহিক বিজয় প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে বোকো হারাম উত্তর নাইজেরিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে।
বোকো হারামের এই লড়াই প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গেল শনিবার প্রকাশিত এক অডিওবার্তায় ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয় বোকো হারাম।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর আল-বাগদাদিকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে মান্য করে তার প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করা হয় ওই বার্তায়।
শুরুর দিকে পশ্চিমা শিক্ষার বিরোধিতা করাই ছিল বোকো হারামের অন্যতম প্রধান কর্মকাণ্ড। হাউসা ভাষায় ‘বোকো হারাম’ মানে হচ্ছে ‘পশ্চিমা শিক্ষা নিষিদ্ধ।’
0 Comment