পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

শুক্রবার তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

আখতার ও মোহাম্মাদ সাজিদ নামে দুই ব্যক্তি পৃথক দুটি খুনের অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

অপরাধী আখতার ১৯৯৯ সালের ১০ ডিসেম্বর এক বাড়িতে ঢুকে একজন নারীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় নারীটির শ্বশুর বাঁধা দিতে এলে তাকে খুন করেন তিনি।

অপর অপরাধী মোহাম্মাদ সাজিদ ২০০০ সালের ১২ মার্চ খুরশিদ বিবি নামে একজন নারীকে হত্যা করেন এবং তার স্বামী আজহারকে আহত করেন।

২০০১ সালে এই দুই অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।

দণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের উভয়ের আপিল আবেদন উচ্চতর আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়।

ফয়সালাবাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে এই প্রথম কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। এরআগে শহরটির জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৫০ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

ওই ঘটনার পর দীর্ঘ সাত বছর পর পাকিস্তান সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেয়। তাতে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

কিন্তু চলতি বছরের ১০ মার্চ পাকিস্তান যেকোনো অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড কার্যকরের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আর তারপরই এই দুই অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

দেশটিতে বর্তমানে ৮ হাজারের মত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী রয়েছেন।