৪৫ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন ছাবের। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে আইসিইউ প্রধান অধ্যাপক মাসুদ আহমেদ জানান।

গত ৪ মার্চ রাতে হাটাহাজারী থানার চারিয়া এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুরের কালী বাড়ি যাওয়ার পথে চারিয়া মাদ্রাসা এলাকায় অবরোধ সমর্থকদের পেট্রোল বোমার শিকার হয় ছাবেরের অটোরিকশা।

এতে ছাবের ও অটোরিকশার যাত্রী রণজিত নাথ দুজনেই গুরুতর দগ্ধ হন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিনিই মারা যান রণজিত।

ছাবেরের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলের বয়স চার বছর। আর ছোট মেয়ের জন্ম হয় তার বাবা দগ্ধ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে।

ছাবেরের বৃদ্ধা মা তামান্না বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ছিলেন। মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। ছাবেরই অটোরিকশা চালিয়ে পরিবারের খবর যোগাতেন।

সব কিছু মিলিয়ে নিজের নাতি-নাতনীদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তিনি।

গত দুই মাস ধরে ২০ দলের অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত শতাধিক নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা যান পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে।