পরমাণু সংকট নিয়ে সমঝোতায় আশাবাদী রুহানি
পরমাণু বিষয়ে আলোচনায় যে আগ্রগতি হয়েছে তাতে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ কে রুহানি বলেন, “এখানে এমন কিছু নেই যেটার সমাধান সম্ভব নয়। যদিও এখনও বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।”
“আশা করছি সেখানে চূড়ান্ত চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে একমত হওয়া যাবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

কেরি বলেন, “আলোচনায় টেকসই অগ্রগতি হয়েছে। যদিও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়ে গেছে।”“২০১৩ সালের নভেম্বরে ইরানের সঙ্গে যে অন্তবর্তীকালীন চুক্তি হয়েছিল উভয় পক্ষ সেই চুক্তির প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে। সেইসঙ্গে আমরা আমাদের বাধ্যবাধকতাগুলোও মেনে চলেছি।”
বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে আনার বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করছে।
পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। যদিও ইরানের দাবি তাদের পরমানু প্রকল্পের লক্ষ্য একদমই শান্তিপূর্ণ।
সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরে চলমান বৈঠকে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল সেসব বিষয়ে উভয় পক্ষের যুক্তি তুলে ধরে সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান রুহানি।
যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘সমন্বিত’ এবং ‘টেকসই’ চুক্তিতে উপনীত হতে চাইছে। যে চুক্তির বাস্তবায়ন ‘বিশ্বাসের ওপর নয় বরং নিবিড় যাচাইয়ের ওপর ভিত্তি করে হবে’।

এ ব্যাপারে কেরি বলেন, “মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে…. এখনই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।”এর আগে শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের উদ্দেশ্যে বলেন, “পরমাণু বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে উপনীত হওয়ার জন্য এটা একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।”
যদি চুক্তি হয় সেক্ষেত্রে ইরানকে অন্তত ১০ বছরের জন্য তাদের পরমানু প্রকল্পের কার্যক্রম কমিয়ে ফেলতে হবে। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অনেকাংশ তুলে নেয়া হবে।
খসড়া চুক্তির জন্য উভয় পক্ষ পরষ্পরকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তি হতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে।
0 Comment