ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় খালেদাও বিবাদী
ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার ছোট ছেলের স্ত্রী ও দুই নাতনিকেও বিবাদী করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপী সোমবার এই আদেশ দেন।
বিবাদীরা সময়ের আবেদন করায় এ মামলায় বিচার্য বিষয় নির্ধারণের (ইস্যু গঠন) তারিখ পিছিয়ে ১২ এপ্রিল নতুন দিন রেখেছেন তিনি।
সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত কোকো মারা যাওয়ায় তার জায়গায় নতুন করে চারজনকে বিবাদী করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন তারা। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
“অর্থঋণের মামলায় কোনো বিবাদী মারা গেলে তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের বিবাদী হিসাবে স্থলাভিষিক্ত করার নিয়ম রয়েছে।”
খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান।
গত জানুয়ারিতে কোকোর মৃত্যুর পর দেশে এলেও দাফন শেষে মেয়েদের নিয়ে মালয়েশিয়া ফিরে যান শার্মিলা রহমান। মুদ্রাপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোকো গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকছিলেন।
ড্যান্ডি ডায়িং মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদের মৃত্যুর পরও তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকেও বিবাদী করেছিল সোনালী ব্যাংক।
৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অর্থ ঋণ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, খালেদার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদার ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, তার স্ত্রী শাহিনা বেগম ও কাজী গালিব অহমেদ।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড।
১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বিবাদীরা। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবার ঋণ মঞ্জুর করে।
২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
সোনালী ব্যাংক বলছে, ড্যান্ডি ডায়িং খেলাপি হয়ে পড়লে কিস্তি পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০০১ সালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করেছিল।
0 Comment