লম্পটের প্রেমের ফাঁদে ননদ-ভাবি, অবশেষে দু’জনেরই আত্মহত্যা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা গ্রামে একই ছেলের পরকীয়া প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বে তিনদিনের মাথায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ননদ ও ভাবী। এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, খাকসা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে টুম্পার (২২) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভরতপুর গ্রামের জুয়েল রানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে টুম্পার বড় ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী রুবেলের স্ত্রী শারমিন আক্তার কলিও (২৬) গোপনে জুয়েলের সঙ্গে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এ ঘটনা জানাজানি হলে ননদ-ভাবীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্বের জের ধরে তাদের দুজনের মধ্যে মারামারির মত ঘটনা ঘটলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু তাতেও সুরাহা না হওয়ায় গত মঙ্গলবার ননদ টুম্পা বিষপানে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক জানাজানি হলে এবং পারিবারিক অশান্তি দেখা দিলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শারমিন আক্তার কলিও বিষপান করে। পরে স্বজনেরা তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকালে সে মারা যায়। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে আপন ননদ-ভাবীর আত্মহননের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়াজেদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম ডিগ্রী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু ইউসুফ বলেন, সামাজিক অবক্ষয় এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ হ্রাস পাওয়ায় এ ধরণের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ করার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এসব ঘটনা ঠেকাতে হবে।
0 Comment