সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ঘোষণায় সই করে তা নির্বাহী আদেশ হিসেবে জারি করেছেন।

২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো খনিজ তেলসমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক টানাপড়েন সবচেয়ে নাজুক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

ভেনেজুয়েলার জ্বালানি খাত তথা অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য নয় বলে জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, তার সরকারের পতন ঘটানোর উদ্যোগেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দু’ঘণ্টার এক জ্বালাময়ী বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে মাদুরো বলেছেন, “সাম্রাজ্যবাদী” এই হুমকি ঠেকাতে তিনি ডিক্রি জারির ক্ষমতা চাইবেন এবং নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া এক কর্মকর্তাকে নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন।

কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচি শুরু করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সে দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করতে হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ইরান, সিরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।