মার্কিন সরকার সম্প্রতি গুয়াতেমালার প্রায় ৩০০ জন নাগরিকের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যাদের মধ্যে ১০০ জন কংগ্রেসের সদস্য রয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করা এবং অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও পড়েছেন।

গত আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বের্নার্দো আরেভালো এবং তার দল সিড মুভমেন্টের বিরুদ্ধে গুয়াতেমালার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছে, এবং নির্বাচনের ফলাফলে অনিয়ম থাকার দাবি করেছে। অতঃপর আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, “গুয়াতেমালার জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। তাদের কণ্ঠস্বর সম্মানিত হওয়া উচিত।”

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকান স্টেটস সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের অনুসরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, এবং তারা অভিযোগগুলিকে ক্ষমতা থেকে আরেভালো

আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে নিন্দা জানিয়েছে। গুয়াতেমালার অ্যাটর্নি জেনারেল কন্সুয়েলো পোরাস গত সপ্তাহে দাবি করেছেন যে, রান-অফ নির্বাচনের ফলাফলে অনিয়ম ছিল এবং সেই কারণে ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।

আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে এবং এটি একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর ফলে, মার্কিন সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুয়াতেমালার এই নেতাদের উপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এই ঘটনা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বিষয়ে বিশ্ব মঞ্চে দেশগুলির দায়বদ্ধতা এবং অঙ্গীকারের প্রতি নতুন করে জোর দেয়। এই নিষেধাজ্ঞা গুয়াতেমালার বিভিন্ন নেতাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণের পরিণাম সম্পর্কে সচেতন করবে​​​​।