শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন নিষ্পত্তি করেন ।

২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী খন্দকার মোশাররফ এর বিরুদ্দে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করে দুদুক । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থকা কালীন তিনি ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচার ।

এই মামলায় আদালতে বিএনপি নেতার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী , সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন , সাবেক মন্ত্রী নিতাই রাই চৌধুরী এবং মোশাররফের ছেলে বারিস্টার মারূফ হোসেন । দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

খন্দকার মোশাররফের আইনজীবীরা বলেছেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

যে শর্তে জামিন দেওয়া হলো

তিন মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে, মুলতবির আবেদন করলে জামিন বাতিল করা যাবে, ব্যাঙ্ক থেকে থেকে কোনো টাকা তুলতে পারবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে ।