গতকাল শনিবার নেপালে একটি শক্তিশালী ভুমিকম্প আঘাত করে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও পোখারার মাঝখানে লামজুং। রিখটার স্কেলে ভুমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৯। ভুমিকম্পে নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা ১৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক মানুষ এবং ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে আরও অনেকে। ভুমিকম্পে আহতের সংখ্যা এত বেশি যে হাসপাতালগুলোতে জায়গা হচ্ছে না। তাই অনেককেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে ।

নেপালের তথ্যমন্ত্রী মীনেন্দ্র রিজ্জাল বলেছেন, এই বিপর্যয়ের মোকাবিলায় তার দেশের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।

জানা যায়, কাঠমান্ডু, ভক্তপুর, গোরখা, লামজুং ইত্যাদি ঘনবসতিপূর্ণ জায়গাগুলতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। নেপাল ছাড়াও সমগ্র উত্তর ভারত, চীনের তিব্বত অঞ্চল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জুড়ে এই ভূকম্পন অনুভুত হয়।

ভুমিকম্পে ভারতের নানা স্থানে অন্তত ৪০ জন এবং বাংলাদেশে অন্তত ২ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
তিব্বতে নিহত হয়েছেন ৬ জন।

এর মধ্যেই ওষুধ, উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে ভারতের কয়েকটি বিমান নেপাল পৌছেছে।

বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকর্মীদের সেখানে যাবার কথা রয়েছে।

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা