পুরস্কার নিলেন না মোজাফফর
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব, আর সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারও নিলেন না ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সাতজনের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অধ্যাপক মোজাফফরের ‘অনাগ্রহের’ কারণে শেষ পর্যন্ত তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের পরিচিতিমূলক গ্রন্থেও তার নাম রাখা হয়নি।
এ পর্যন্ত ২১২ জন ব্যক্তি ও ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কারো প্রত্যাখ্যানের ঘটনা এই প্রথম।
মোজাফফর আহমেদ বলেন, “রাজনীতির অর্থ দেশ সেবা, মানুষের সেবা। পদ বা পদবীর জন্য কখনো রাজনীতি করি নাই। শেখ মুজিব আমাকে অনেক কিছু বানানোর চেষ্টা করেছিলেন আমি হই নাই। আমি মহাত্মা গান্ধী, মাওলানা ভাসানীর অনুসারী।”
তিনি বলেন, “পদক দিলে বা নিলেই সম্মানিত হয়, এই দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি বিশ্বাসী নই। দেশপ্রেম ও মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম, কোনো পদক বা পদ-পদবি আমাকে উদ্বুদ্ধ করেনি। সত্যিকার অর্থে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তারা কেউই কোনো প্রাপ্তির আশায় নেননি।”
অধ্যাপক মোজাফফর পদ-পদবীর বিষয়ে অনীহা দেখালেও স্ত্রী আমিনা আহমেদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসন থেকে সাংসদের দায়িত্ব পালন করছেন। গত নবম সংসদেরও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন ন্যাপের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
0 Comment