বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বেশ কিছু এলাকায় ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি সন্ধ্যা ৮:৪৯ মিনিটে অনুভূত হয় এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে, যার গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার​​​​। এই ভূমিকম্প ভারত, মিয়ানমার, ভুটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিএমডি সিসমিক সেন্টার থেকে ২২৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ছিল​​।

এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়নি​​। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভূমিকম্পে ৯০% মৃত্যু ঘটে যখন মানুষ নির্মাণ নিয়ম অমান্য করে নির্মিত ভবনে আটকা পড়ে এবং তারা ভূমিকম্পের সময় বা পরে কী করতে হবে তা জানে না। ভূমিকম্পে ত্রুটিপূর্ণ ভবন এবং অন্যান্য কাঠামো প্রভাবিত হয়। শক্তিশালী কম্পনের আঘাতে ভবন এবং রাস্তাগুলি ফাটল ধরে বা হেলে পড়ে বা ধসে যায়। তাই ভূমিকম্পের ক্ষতি হ্রাস করার জন্য ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলি চিহ্নিত করা এবং এগুলিকে পুনর্বাসন করা, এবং নতুন কাঠামোগুলিকে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী করে তোলা জরুরি। ভূমিকম্পের এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য সচেতনতা এবং প্রস্তুতির গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলেছে​​।

ভূমিকম্পের এই ঘটনা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভূমিকম্প সচেতনতা এবং প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ভবন নির্মাণের উপর জোর দিচ্ছেন এবং জনগণকে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ থাকার উপায় শেখানোর উপর জোর দিচ্ছেন। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রথমিক উদ্ধার এবং জরুরি সেবা প্রদানের গুরুত্বও প্রতিপাদিত হচ্ছে।

এই ঘটনা বাংলাদেশের ভূমিকম্প সংক্রান্ত জাতীয় প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াতে সম্ভাব্য উন্নতির দিকগুলি তুলে ধরেছে। এটি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের জন্য একটি জরুরি পরিস্থিতি পরিচালনা এবং জনগণকে সচেতন করার একটি সুযোগ হিসেবেও কাজ করেছে।