১৩ বছরের কারাদণ্ড নাশিদের
‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট নাশিদের এই সাজা ঘোষণা করে রাজধানী মালের একটি আদালত।
ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১২ সালে দেশটির প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছিলেন নাশিদ। সেই আদেশ যথাযথভাবে দেয়া হয়নি বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন নাশিদ। তিন বছরের মাথায় বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।
এরপর একটি বিতর্কিত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। বিচারপতিকে দেয়া গ্রেপ্তারের আদেশে “ক্ষমতার অপব্যবহারের” অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার রায়ে বিচারক আবদুল্লাহ দিদি বলেন, “বিচারিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, নাশিদ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছিলেন, এরপর তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গিরিফুশি দ্বীপে আটকে রেখেছিলেন।”
তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে কোনো দ্বিমত ছিল না, আর প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কার্যালয় থেকে ১৩ বছরের সাজা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ মামলায় কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাশিদের জয় ইয়ামিনের সৎ ভাই মামুন আবদুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের একনায়কত্বের অবসান ঘটিয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসের অভিযোগে নাশিদকে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার মানুষ মালের রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
নাহিদের বিচার ও তার সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
0 Comment